ইতিহাস-ঐতিহ্য
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৪৫ সালে পটিয়ায় একটি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৪ সালে এটিকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। ১৯৩০ এর দশকে এখানে ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী, বিশেষতঃ যুগান্তর দল ও চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের সাথে জড়িত বিপ্লবীরা এখানে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে কালারপোল সংঘর্ষে বিপ্লবী স্বদেশ রায় ইংরেজ সেনাদের গুলিতে নিহত হন। ১৯৩৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে গৈড়লা গ্রামে বিপ্লবী দলের অধিনায়ক সূর্যসেন ও ব্রজেন্দ্রসেন ইংরেজ সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর দুটি বোমারু বিমান পটিয়া সদরে কয়েক দফা বোমা হামলা চালিয়ে অনেক বেসামরিক লোককে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ৩ মে মুজাফফরাবাদ গ্রামে পাকবাহিনী ও রাজাকার-আলবদর সদস্যরা অসংখ্য ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয় এবং নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। ১৪ ডিসেম্বর পটিয়া পাক হানাদার মুক্ত হয়।
১৯২৯ সালে পটিয়া উপজেলার রশিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আবদুল গফুর হালী। তাঁর লেখা অসংখ্য আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গান সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয়। আবদুল গফুর হালীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘মেঠো পথের গান’। তিনি ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[২]
১৯০৩ সালে পটিয়া গ্রামের প্রথম এনট্রান্স (বর্তমানে এসএসসি) পাশ করেন পটিয়া পৌরসদরের ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার পাইকপাড়া (বর্তমানে দক্ষিণঘাটা) গ্রামের উকিল রায়হান আলী। তিনি চট্টগ্রাম জজ কোর্টের লব্দ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি ছিলেন। তার পুত্র অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ ও তৎকালীন কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস